Tafsir-e-Quran Tafsir e quran-তাফসীরে কোরআন

Tafsir e quran-তাফসীরে কোরআন

আসুন কোরআনের বাংলা অর্থ পড়ি ও জানি
thumbnail

সূরা বাকারা আয়াত ৯১-৯৫

Tafsir-e-quran

সূরা বাকারা আয়াত (৯১-৯৫)

Surah Baqara ayat (91-95)



পর্ব -১৮
✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৯১-৯৫)

৯১. আর যখন তাদের বলা হয়, তোমরা ঈমান আনো ওইসব কিতাবের ওপর যা আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন, তখন বলে, আমরা ঈমান আনব আমাদের প্রতি অবতারিত কিতাবের ওপর, তদ্ব্যতীত আর সবগুলোকে তারা অস্বীকার করে,অথচ সেগুলোও সত্য, অধিকন্তু তাদের সঙ্গীয় কিতাবের সত্যতা ও প্রমাণকারী;আপনি বলুন, তবে কেন ইতঃপূর্বে যদি তোমরা মুমিন ছিলে?

৯২. আর মুসা আনলেন তোমাদের নিকট জ্বলন্ত প্রমাণসমূহ, তবুও তোমরা তাঁর পর বাছুরকে সাব্যস্ত করলে, আর তোমরা ছিলে অনাচারী।

৯৩. আর যখন তোমাদের ওয়াদা নিলাম এবং তুলে ধরলাম তোমাদের উপর তুর পর্বত; গ্রহণ করো যা কিছু আমি তোমাদেরকে দিতেছি সাহসের সাথে এবং শোনো, তারা বলল, শুনলাম; কিন্তু আমল করতে পারব না, আর মিশে গিয়েছিল, তাদের হৃদয়ের সেই বাছুর তাদের কুফরীর কারণে; আপনি বলুন, অত্যন্ত নিন্দনীয় যা কিছু আদেশ করতেছে তোমাদের ঈমান, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।

৯৪. আপনি বলে দিন, শুধুমাত্র তোমাদেরই জন্য নির্ধারিত হয়ে থাকে পরজগতের উপভোগ আল্লাহর নিকট অন্য কারো অংশগ্রহণ ব্যতীত, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা করে দেখিয়ে দাও, আমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।

৯৫. আর নিশ্চয়ই তারা কখনো তা কামনা করবে না তাদের স্বহস্তকৃত আমলসমূহের দরুণ, আর আল্লাহ তায়ালা সবিশেষ অবগত আছেন এই সমস্ত জালিম সম্বন্ধে।

🌎 আল্লাহ তায়ালা সত্য বলেছেন।

▪️ ------উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা------▪️

🌱৯৪ নং আয়াতের শানে নুযূল ---

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন, ইহুদিরা যখন দাবি করতে থাকে যে, তারাই একমাত্র আল্লাহর প্রিয় পাত্র হিসেবে বেহেশত লাভের একক হকদার ও উত্তরাধিকারী। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন- আচ্ছা তোমরা যদি তোমাদের দাবি সম্পর্কে নিঃসন্দেহ এবং সত্যবাদী হও তবে আসো আমরা উভয়ে একত্রে আল্লাহর নিকট দোয়া করি -যেন আল্লাহ আমাদের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তাদের ধ্বংস করে দেন ।কিন্তু তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি কারণ তারা ভাল করে জানতো যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য, সত্যই আল্লাহর প্রেরিত।বস্তুত:তারা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দোয়ার জন্য জমায়েত হতো তবে আল্লাহ তাদের সকলকে ধ্বংস করে দিতেন এবং দুনিয়ার বুকে একজন ইহুদী ও বেঁচে থাকত না; এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা উক্ত আয়াতগুলো নাযিল করেন। অথবা বেহেশতে ইহুদীরা ভিন্ন অন্য কেউ যেতে পারবে না তাদের এ দাবি খন্ডনে অত্র আয়াত গুলো নাযিল হয়।

🌱৯৫ নং আয়াতের শানে নুযূল---
পূর্ববর্তী আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদিদের লক্ষ্য করে বললেন যে, তোমাদের দাবিতে তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে তোমরা আল্লাহর নিকট এভাবে প্রার্থনা করবে ,হে আল্লাহ! যার হাতে আমার প্রাণ, তুমি আমাদের মৃত্যু দান করো। তোমাদের থেকে কেউই এ প্রার্থনা করবে না; বরং একজন তাকে থুতু দেয় ফলে সেখানে সে মৃত্যুবরণ করে তারা এমনভাবে প্রার্থনা করতে অপছন্দ ও অস্বীকার করল। তখন এ পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াত নাযিল হয়। [দুররুল মানছুর ৯৮/১]

▪️ মৃত্যু কামনার নির্দেশের কারণ:
ইহুদিরা দাবি করত যে, পরকালের সুখ ভোগে তাদেরও একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। এরই সত্যতা প্রমাণের নিমিত্তে আল্লাহ তা'আলা তাদের মৃত্যু কামনা করতে বলেন। কেননা তাদের কৃত দাবি যদি পরকালের ব্যাপারে আন্তরিকই হয় তবে মৃত্যু কামনার ব্যাপারে তারা ইতস্তত করবে না। কারণ মৃত্যু ব্যতীত তাদের পরকালে প্রবেশের কোন পথ নেই। পরকালে গিয়ে আল্লাহর নৈকট্য বা মুক্তির আশায় ইহুদিদেরই সর্বাগ্রে মৃত্যু কামনা করা উচিত ছিল; কিন্তু তারা তা না করায় একথা প্রমাণিত হয় যে,তাদের দাবি আন্তরিক নয়।

▪️ মৃত্যু কামনা করার বিধান:
মৃত্যু কামনা করা শরীয়তে বৈধ নয়। হাদিস শরীফে মৃত্যু কামনা করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।আয়াতে মৃত্যু কামনার নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে। অতএব বলা হবে মূলত: এখানে মৃত্যু কামনার নির্দেশ নয়; বরং এখানে দলিল পেশ করাই উদ্দেশ্য এবং তারা যে তাদের দাবিতে মিথ্যাবাদী একথা প্রমাণই উদ্দেশ্য।যে সকল হাদিসে মৃত্যু কামনা করা নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে সেস্থলে কোন বিপদ অবতীর্ণ হওয়ার কারণে মৃত্যু কামনা নিষিদ্ধ হওয়াই বুঝায়।

চলবে ইনশাআল্লাহ...
thumbnail

সূরা বাকারা আয়াত (৮৬-৯০)

Tafsir-e-quran

সূরা বাকারা আয়াত (৮৬-৯০)


Surah Baqara ayat (86-90)
Surah Baqara ayat (86-90)


👉 পর্ব -১৭
✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৮৬-৯০)


৮৬. এরাই পরকালের বিনিময়ে প্রার্থীব জীবন ক্রয় করেছে।এতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না।

৮৭. অবশ্যই আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রসূল পাঠিয়েছে। আমি মরিয়ম 
তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মো'জেযা দান করেছি এবং পবিত্র রুহের মাধ্যমে তাকে শক্তি দান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভালো লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ।

৮৮. তারা বলে, আমাদের হৃদয় অর্ধাবৃত। এবং তাদের কুফরের কারণে আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তারা অল্পই ঈমান আনে।

৮৯. যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এসে পৌঁছালো, যা সে বিষয়ের সত্যায়ন করে, যা তাদের কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করত। অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল যাকে তারা চিনে রেখেছিল, তখন তারা তা অস্বীকার করে বসলো। অতএব, অস্বীকারকারীদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত।

৯০. যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করেছে, তা খুবই মন্দ; যেহেতু তারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তা অস্বীকার করেছে-এই হঠকারিতার ধরুন যে, আল্লাহর স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাজিল করেন। অতএব, তারা ক্রোধ এর উপর ক্রোধ অর্জন করেছে। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।

📓 আল্লাহ তায়ালা সত্য বলেছেন..

চলবে ইনশাআল্লাহ.....

📌রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন আমার পক্ষ থেকে একটা বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও"

তাই নিজে পড়ে জানার পাশাপাশি শেয়ার করে অন্যকে জানাতে সাহায্য করি এবং এই মূল্যবান পেইজে ইনভাইট করি যেখানে আল্লাহর বানী প্রচার হয় এতে যদি আমল নামায় কিছুটা দাওয়াতের সওয়াব লিখা হয় তবে তা কম কিসে???
thumbnail

সূরা আল বাকারা আয়াত (৮১-৮৫)

Tafsir-e
Surah Baqara ayat(81-85)
Surah al baqara (81-85)

-quran

সূরা আল বাকারা আয়াত (৮১-৮৫)


👉 পর্ব -১৬
✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৮১-৮৫))


৮১. হ্যাঁ, যে ব্যক্তি পাপ অর্জন করেছে এবং সে পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে নিয়েছে, তারাই দোযখের অধিবাসী।তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।

৮২. পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে ,তারাই জান্নাতের অধিবাসী।তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।

৮৩. যখন আমি বনী-ইসরাইলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো উপাসনা করবে না,পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতীম ও দীন-দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষকে সৎ কথাবার্তা বলবে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে, তোমরাই অগ্রাহ্যকারী।

৮৪. যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা পরস্পর খুনাখুনি করবেনা এবং নিজ দিগকে দেশ থেকে বহিষ্কার করবে না, তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিচ্ছিলে।

৮৫. অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছো। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিষ্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস করো এবং কিয়দংস অবিশ্বাস কর! যারা এরূপ করে, প্রার্থীর জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেওয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে খবর নন।

🌎 আল্লাহ তায়ালা যা বলেছেন সত্য বলেছেন।

 
--------উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা--------

▪️৮৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা ▪️
উক্ত আয়াতে সৎ কথাবার্তা দ্বারা এমন কথা বোঝানো হয়েছে, যা সৌন্দর্য মন্ডিত। এর অর্থ এই যে, যখন মানুষের সাথে কথা বলবে, নম্রভাবে হাসিমুখে ও খোলা মনে বলবে-যার সাথে কথা বলবে, সে সৎ হোক বা অসৎ, সুন্নি হোক বা বেদাতি। তবে ধর্মের ব্যাপারে শৈথিল্য অথবা কারো মনোরঞ্জনের জন্য সত্য গোপন করবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা ও হারুন আলাইহিস সালামকে নবুওয়াত দান করে ফেরাউনের প্রতি পাঠিয়েছিলেন, তখন এ নির্দেশ দিয়েছিলেন "তোমরা উভয়েই ফেরাউনকে নরম কথা বলবে। আজ যারা অন্যের সাথে কথা বলে, তারা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর চাইতে উত্তম নয় এবং যার সাথে কথা বলে, সেও ফেরাউনের অপেক্ষা বেশি মন্দ ও পাপিষ্ঠ নয়।

▪️৮৪ নং আয়াতের শানে নুযূল▪️
১. পরস্পর খুনাখুনি করবে না। ২. কেউ কাউকে বহিষ্কার করবে না। ৩. নিজেদের মধ্যে কেউ বন্দী হলে তাকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনবে। এই তিনটি নির্দেশের মধ্যে প্রথম দুটি তারা লঙ্ঘন করতো। কিন্তু তৃতীয়টি মানার ব্যাপারে তৎপর ছিল। ঘটনাটির মূল বিবরণ হল এই, মদিনাতে দুটি আনসার গোত্র বাস করত আউস এবং খাজরাজ। আউস এবং খাজরাজের মাঝে দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। কখনো কখনো এ দ্বন্দ্ব যুদ্ধের পর্যায়ে চলে যেত। পাশাপাশি সেখানে দুটি ইহুদী গোত্র বাস করত। বনি কুরাইজা ও বনি নজির। বনি কুরাইজা ছিল আউসের বন্ধু আর বনি নজির ছিল খাজরাজের বন্ধু। ফলে আউস এবং খাজরাজের লড়াই যখন শুরু হতো, তখন বনি কুরাইজা ও বনী নজির ও তাদের বন্ধুদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো, তাতে আউস এবং খাজরাজের যেমন মারা যেত তেমনি বনি নজিরও বনি কুরাইজার লোকও মারা যেত। একে অপরকে দেশান্তর করতো; কিন্তু তাদের একটি আচরণ ছিল অদ্ভুত। যখন তাদের কেউ প্রতিপক্ষের হাতে বন্দি হত তখন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতো। তাদের এহেন দৃষ্টান্ত পূর্ণ আচরণের জবাবে আল্লাহপাক এই আয়াতগুলো নাযিল করেন। আর তাদেরকে যখন জিজ্ঞাসা করা হত আপনারা বন্দীদেরকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন কেন? তখন তারা বলে এটা আল্লাহর নির্দেশ। তাহলে যুদ্ধ করেন কেন? আমাদের মিত্ররা হেরে যাবে এই লজ্জায়।

▪️৮৪ নং আয়াতে ব্যাখ্যা▪️
উক্ত আয়াতে "যখন আমি তোমাদের থেকে এ প্রতিশ্রুতি নিলাম যে; বাক্যদ্বারা যদিও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সমসাময়িক ইহুদিদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে, কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষদের আচরণ ও ক্রিয়াকলাপ তুলে ধরে তাদের ঘটনা স্মরণ করিয়ে উপদেশ দেওয়া উদ্দেশ্য। উক্ত আয়াতে অঙ্গীকারের বিষয়বস্তু উল্লেখ করে পরবর্তী আয়াত সমূহে তাদের আচরণ ও ক্রিয়াকলাপ যে সে অঙ্গীকারের বিপরীত কর্ম তা বর্ণনা করা হয়েছে।  
এতএব তাদের কর্ম দ্বারা অঙ্গীকার ভঙ্গ হচ্ছে। কেননা তখন আল্লাহ তো বর্তমান এবং অনাগত ভবিষ্যতে ইহুদিদের জন্যই অঙ্গীকার পেশ করেছিলেন। আর তারাই অঙ্গীকার করেছিল সকল ইহুদীদের পক্ষে। সুতরাং মহানবীর সমসাময়িক ইহুদীরাও অঙ্গীকারের মধ্যে শামিল এবং তারাও নিজ অঙ্গীকারের বিপরীত কর্ম করে যাচ্ছে।

চলবে ইনশাআল্লাহ....
thumbnail

সূরা বাকারা আয়াত ৭৬-৮০

Tafsir-e-quran

সূরা বাকারা আয়াত (৭৬-৮০)

Surah Baqara ayat(76-80)
Surah Baqara ayat (76-80)



👉পর্ব -১৫
✍️ পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৭৬-৮০)


৭৬. যখন তারা মুসলমানদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলেঃ আমরা মুসলমান হয়েছি ।আর যখন পরস্পরের সাথে নিভৃতে অবস্থান করে, তখন বলেঃ পালনকর্তা তোমাদের জন্য যা প্রকাশ করেছেন ,তা কি তাদের কাছে বলে দিচ্ছ? তাহলে যে তারা এ নিয়ে পালনকর্তার সামনে তোমাদেরকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। তোমরা কি তা উপলব্ধি করো না?

৭৭. তারা কি এতোটুকু জানে না যে, আল্লাহ সে সব বিষয়েও পরিজ্ঞাত যা তারা গোপন করে এবং প্রকাশ করে?

৭৮. তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।

৭৯. অতএব তাদের জন্য আফসোস। যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লিখে এবং বলে, ওটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্য।

৮০. তারা বলেঃ আগুন আমাদেরকে কখনো স্পর্শ করবে না; কিন্তু গনাগন্তি কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ যে,আল্লাহ কখনো তার খেলাপ করবেন না-- না তোমরা যা জানো না, তা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ।

🌍আল্লাহ সত্য বলেছেন..

............উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা-----------
👉পরে লিখছি ইনশাআল্লাহ

thumbnail

সূরা আল বাকারা(আয়াত ৭০-৭৫)

Tafsir-e-quran

সূরা আল বাকারা 

Surah Baqara ayat70-75
Surah Baqara(ayat70-75)


👉পর্ব-১৪
✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

🌷সুরা আল বাকারা (আয়াত ৭১-৭৫)


৭১. তারা বলল, এবার সঠিক তথ্য এনেছ। অতঃপর তারা সেটা জবাই করল, অথচ জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না।

৭২. যখন তোমরা একজনকে হত্যা করে করে সে সম্পর্কে একে অপরকে অভিযুক্ত করেছিলে। যা তোমরা গোপন করছিলে, তা প্রকাশ করে দেওয়া ছিল আল্লাহর ওভিপ্রায়।

৭৩. অতঃপর আমি বললাম, গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত করো। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নির্দেশ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর।

৭৪. অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মতো অথবা তদপেক্ষা ও কঠিন। পাথরের মধ্যে এমন ও আছে, যা থেকে ঝরণা প্রবাহিত হয়, এমনও আছে, যা বিদীর্ণ হয়, অতঃপর তা থেকে পানি নির্গত হয় এবং এমনও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে খসে পড়তে থাকে। আল্লাহ তোমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বে-খবর নন।

৭৫. হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রাবণ করত; অতঃপর বুঝে- শুনে টা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল।

🌍 আল্লাহ তাআলা সত্য বলেছেন।

--------উপরোক্ত আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা--------

পাথরের শ্রেণীবিন্যাস ও ক্রিয়া:
আয়াতে পাথরের তিনটি প্রিয়া বর্ণিত হয়েছে।
১. পাথর থেকে পানি বেশি প্রসরণ
২. কমপানি নিঃসরণ। এ দুটি প্রভাব সবারই জানা।
৩. আল্লাহ তাআলার ভয়ের নিচে গড়িয়ে পড়া। এ তৃতীয় ক্রিয়াটি কারও কারও অজানা থাকতে পারে। কারণ পাথরের কোনরূপ জ্ঞান ও অনুভূতি নেই। কিন্তু জানা উচিত যে, ভয় করার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। জন্তু-জানোয়ারের জ্ঞান নেই। কিন্তু আমরা তাদের মধ্যে ভয়-ভীতি প্রত্যক্ষ করি। তবে চেতনার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। জড় পদার্থের মধ্যে এতোটুকু চেতনা ও নেই বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। কারণ চেতনাও প্রাণের ওপর নির্ভরশীল। খুব সম্ভব জড় পদার্থের মধ্যে এমন সুক্ষ্ম প্রাণ আছে, যা আমরা অনুভব করতে পারি না। উদাহরণতঃ বহুৎ পন্ডিত মস্তিষ্কের চেতনা শক্তি অনুভব করতে পারেন না। তারা একমাত্র যুক্তির ভিত্তিতে এর প্রবক্তা। সুতরাং ধারণাপ্রসূত প্রমাণাদির চেয়ে কুরআনের আয়াতের যৌক্তিকতা কোন অংশেই কম নয়।

এছাড়া আমরা এরূপ দাবিও করি না যে, পাথর সবসময় ভয়ের দরুনই নিচে গড়িয়ে পড়ে। কারণ আল্লাহ তাআলা কতক পাথর বলেছেন। সুতরাং নিচে গড়িয়ে পড়ার জন্য আরো বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তন্মধ্যে একটি হলো আল্লাহ তাআলার ভয়।

ইহুদিদের অন্তর পাথরের চেয়েও বেশি কঠিন:

এখানে তিন রকমের পাথরের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও সাবলীল ভঙ্গিতে এদের শ্রেণীবিন্যাস ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করা হয়েছে। কতক পাথরের প্রভাবান্বিত হওয়ার ক্ষমতা এত প্রবল যে তা থেকে নদী-নালা প্রবাহিত হয়ে যায় এবং এর দ্বারা সৃষ্ট জীবের উপকার সাধিত হয়। কিন্তু ইহুদিদের অন্তর এমন নয় যে, সৃষ্টি জীবের দুঃখ-দুর্দশায় অশ্রুসজল হবে। কত পাথরের মধ্যে প্রভাবান্বিত হওয়ার ক্ষমতা কম। ফলে সেগুলো দাড়া উপকার ও কম হয়। এ ধরনের পাথর প্রথম ধরনের পাথর এর তুলনায় কম নরম হয়। কিন্তু ইহুদিদের অন্তরে এ দ্বিতীয় ধরনের পাথর অপেক্ষাও বেশি শক্ত। কতক পাথরের মধ্যে উপরিউক্ত রূপ প্রভাব না থাকলেও এতোটুকু প্রভাব অবশ্যই আছে যে খোদার ভয়ে নিচে গড়িয়ে পড়ে। এ পাথর উপরিউক্ত দুই প্রকার পাথরের তুলনায় অধিক দুর্বল কিন্তু ইহুদিদের অন্তর এ দুর্বলতম প্রভাব থেকে মুক্ত।

৭৫.আয়াতের ব্যাখ্যা..
এখানে 'আল্লাহর বাণী' অর্থাৎ তাওরাত। 'শ্রবণ করা' অর্থ পয়গম্বরদের মাধ্যমে শ্রবণ করা। 'পরিবর্তন করা' অর্থাৎ কোন কোন বাক্য অথবা ব্যাখ্যা অথবা উভয়টিকে বিকৃত করে ফেলা।

অথবা, "আল্লাহর বাণী"অর্থাৎ ওই বাণী, যা মূসা আলাইহিস সাল্লাম এর সত্যায়নের উদ্দেশ্যে তার সাথে গমনকারী ৭০ জন ইহুদী তূর পর্বতে শুনেছিল। 'শ্রবণ' অর্থ মাধ্যম বিহীনভাবে সরাসরি শ্রবণ। 'পরিবর্তন' অর্থ স্বগোত্রের কাছে প্রসঙ্গক্রমে এরূপ বর্ণনা করা যে, আল্লাহ তা'আলা উপসংহারে বলে দিয়েছেনঃ তোমরা যেসব নির্দেশ পালন করতে না পারো তা মাফ।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আমলের যে সব ইহুদি ছিল তাদের তারা উল্লেখিত কোন কুকর্ম সংঘটিত হয়নি সত্য, কিন্তু পূর্ববর্তীদের এসব দুষ্ককর্মকে তারা অপছন্দ ও ঘৃণা করত না। এ কারণে তারাও কার্যতঃপূর্ববর্তীদেরই মত।

চলবে....
thumbnail

সূরা আল বাকারা (আয়াত ৬৬-৭০)

tafsir e quran/surah baqara ayat(66-70)



👉পর্ব -১৩ 

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। 


সূরা আল বাকারা (আয়াত ৬৬-৭০)


 ৬৬. অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।
 
৬৭. যখন মূসা আলাইহিস সালাম স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেন: আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছো? মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

 ৬৮. তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করো, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, তিনি বলেছেন, সেটা হবে একটি গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারী ও নয়। বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেলো।

 ৬৯. তারা বলল, তোমার পালনকর তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করো যে, তার রং কিরূপ হবে? মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, তিনি বলেছেন যে, গারো পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে। 

৭০. তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দিন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথ প্রাপ্ত হব। মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ র্ষণ ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়-হবে নিষ্কলঙ্ক ,নিখুঁত। 

🌍 আল্লাহ তায়ালা সত্য বলেছেন।


 -------------উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা------- 

গাভী জবাইয়ের ঘটনা 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এবং অন্যান্য মুফাসসিরগণের মতে, বনি ইসরাইলদের মধ্যে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল। যার বর্ণনায় উল্লেখিত আয়াত সমূহ অবতীর্ণ হয়। ➡️

ঘটনার বিবরণঃ

 বনি ইসরাইলের মধ্যে "আদিল" নামের বিপুল সম্পদের অধিকারী ও ধনী ব্যক্তি ছিল। তার কোন পুত্র সন্তান ছিল না। একমাত্র কন্যা ও এক ভাতিজা ছিল। ভাতিজা স্বত্ত পাওয়ার লালসায় এবং একমাত্র কন্যা কে বিয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করতে ইচ্ছা করে এবং হত্যার রক্তপণ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাই একদিন সুযোগ মত চাচা কে হত্যা করে রাস্তার মোড়ে রেখে আসে এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর নিকট এসে বললো যে, কে তাদের চাচা কে হত্যা করেছে, তারা জানে না। অথবা, মৃতদেহের নিকটস্থ থেকে রক্তমূল্য দাবি করে। তখন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার নির্দেশে তাদেরকে একটি গরু জবাই করতে আদেশ দিলেন এবং জবাইকৃত গরুর একাংশ মতান্তরে লেজ বা মেরুদণ্ড কিংবা রান মৃত ব্যক্তির গায়ে স্পর্শ করলে সে জীবিত হয়ে বলে দেবে, কে তাকে হত্যা করেছে। তারা যেকোন একটি গরু জবাই করে সেটার অংশ দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে হত্যাকারীর সন্ধান পাওয়া যেত। কিন্তু তাদের চিরাচরিত অভ্যাস ও প্রকৃতি অনুযায়ী নানাপ্রকার বাদানুবাদের অবতারণা করতে থাকলে আল্লাহ তায়ালা শর্ত করে দিলেন যে, নিখুঁত, নির্মল, কাজে অব্যবহৃত, গাঢ় রংএর একটি মধ্যবয়সী গরু জবাই করতে হবে। অবশেষে তারা এরূপ একটি গরু বহুমূল্য ক্রয় করে জবাই করে তার একাংশ দ্বারা মৃত ব্যক্তির দেহে স্পর্শ করলে সে জীবিত হয়ে বলে দিও যে, তার ভাতিজা ধন সম্পদের লোভে বা কন্যাকে বিয়ের লালসায় তাকে হত্যা করেছে। এত টুকু বলে সে আবার মৃত্যুমুখে পতিত হলো। ফলে হত্যাকারীর সন্ধান পাওয়া গেল এবং বনি ইসরাইলের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে।

 ➡️

গাভী জবাইয়ের ঘটনাটি বর্ণনার কারণঃ 

আল্লাহ তাআলা বনী-ইসরাঈলকে গাভী জবাইয়ের ও ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করিয়ে দুটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

 ১. এ ঘটনাটি পরলোক অবিশ্বাসীদের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় যে, বনি ইসরাইলদের মধ্যে সংঘটিত এ ঘটনাটি মৃতকে পুনর্জীবিত করনের ওপরে একটি ঐতিহাসিক সাক্ষীরূপে বিদ্যমান রয়েছে। অতএব, আল্লাহ তা'আলা তখন মৃতদেরকে জীবিত করে সেভাবে নিজের কুদরত প্রদর্শন করেছেন, তোমরা বুঝে নাও যে, কেয়ামতের দিনও এরূপে মৃতকে তিনি জীবিত করবেন।

 ২. এ ঘটনার মাধ্যমে বনী ইসরাঈল কে একথা জানিয়ে দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এত অধিক সংখ্যায় স্বীয় কুদরত প্রদর্শন করেছেন যে, যদি অন্য কোন কওমের সম্মুখে এসব কুদরত প্রদর্শন করা হতো, তবে তারা চিরতরে আল্লাহ তায়ালার ফরমাবরদার হয়ে যেতো। তাদের অন্তরে এক মুহূর্তের জন্যও তার নাফরমানির কল্পনাও দিতে হতো না। কিন্তু তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ব পুরুষদের মধ্যে এর কোন প্রতিক্রিয়া হলো না। আর যদি হয়ে থাকে তাহলে তা নিতান্ত অস্থায়ী ও নিষ্ক্রিয়ই প্রমাণিত হয়েছে। আজও যদি তোমরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরোধিতা করো, তবে তা হবে তোমাদের জন্মগত ও স্বভাবগত একগুয়েমী এবং মূর্খতার ফল।

 ৬৭.আয়াতের ব্যাখ্যাঃ পুলিশ ফাইল মুসা আলাই সালাম এর নিকট নিহত হন্তা নির্ধারণের আবেদন করেছিল, এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গাভী জবাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের নিবেদিত বিষয়ে আর গরু জবাইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় তারা ধারণা করেছিল যে, তিনি তাদের সাথে বিদ্রূপাচরণ করছেন। অথচ গাভী জবাই করে ওটার কিছু অংশ দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে আঘাত করলে সে জীবিত হয়ে হত্যা কারীর কথা বলে দেবে একথা তিনি তাদেরকে বলেননি। তাই তারা ধরে নিয়েছিল যে, এ আদেশটি বিদ্রূপাত্মক। চলবে....


<a href="https://www.teacheron.com/tutor-profile/6ZU3?r=6ZU3" target="_blank" style="display: inline-block;"><img src="https://www.teacheron.com/resources/assets/img/badges/viewMyProfile.png" style="width: 120px !important; height: 52px !important"></a>

About

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Copyright . Blogger দ্বারা পরিচালিত.

সূরা বাকারা আয়াত ৯১-৯৫

Tafsir-e-quran সূরা বাকারা আয়াত (৯১-৯৫) পর্ব -১৮ ✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। 🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৯১-৯৫) ৯১. আর...