Tafsir-e-Quran সূরা বাকারা (আয়াত 16 থেকে 20) অর্থ ও তাফসির - Tafsir e quran-তাফসীরে কোরআন

Tafsir e quran-তাফসীরে কোরআন

আসুন কোরআনের বাংলা অর্থ পড়ি ও জানি
thumbnail

সূরা বাকারা (আয়াত 16 থেকে 20) অর্থ ও তাফসির

 

tafsir e quran

👉(পর্ব-৩)

✍পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।


🌺 সূরা বাকারা (আয়াত 16 থেকে 20)


১৬. তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুত: তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।


১৭. তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত,যে কোথাও আগুন জালানো এবং তা তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুনে স্পষ্ট করে তুলল,ঠিক এমন সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।


১৮. তারা বধির মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।


১৯. আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক।মৃত্যুর ভয় গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্টিত।


২০. বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহর ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টি শক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল।


🌎 আল্লাহর সত্য বলেছেন।


👉 16 নং আয়াতে মুনাফিকদের সে অবস্থার বর্ণনা রয়েছে যে, তারা ইসলামকে কাছে থেকে দেখেছি এবং তার স্বাদ ও পেয়েছে, আর কুফরীতে তো পূর্ব থেকে লিপ্ত ছিল। অতঃপর ইসলাম ও কুফর উভয়কে দেখে বুঝেও তারা দুনিয়ার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ইসলামের পরিবর্তে কুফর কে গ্রহণ করেছে। তাদের এ কাজকে ব্যবসায় সাথে তুলনা করে জানানো হয়েছে যে, তাদের ব্যবসার কোন যোগ্যতাই নেই। তারা উত্তম ও মূল্যবান বস্তু ঈমানের পরিবর্তে নিকৃষ্ট মূল্যহীন বস্তু কুফর খরিদ করেছে।


17 থেকে 20 এই চার আয়াতে দুটি উদাহরণ দিয়ে মুনাফিকদের কার্যকলাপকে ঘৃণ্য আচরণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।মুনাফিকদের দুই শ্রেণীর লোকের পরিপ্রেক্ষিতে এখানে পৃথক দুটি উদাহরণ পেশ করা হয়েছে।


মুনাফিকদের এক শ্রেণীর লোক হচ্ছে তারা,যারা কুফরীতে সম্পূর্ণরূপে নিমগ্ন থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদের কাছ থেকে আর্থিক স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে মুখে ঈমানের কথা প্রকাশ করত। দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক হচ্ছে তারা,যারা ইসলামের সত্যতার প্রভাবিত হয় কখনো প্রকৃত মুমিন হতে ইচ্ছা করতো,কিন্তু দুনিয়ার উদ্দেশ্য তাদেরকে ইচ্ছা থেকে বিরত রাখত। এভাবে তারা কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় দিনাতিপাত করতো।

আলোচ্য আয়াত গুলোর মধ্যে তাদেরকে বলে সতর্ক করা হয়েছে যে, তারা আল্লাহর নাগালের ঊর্ধ্বে নয়। সব সময়, সর্বাবস্থায় আল্লাহ পাক তাদের ধ্বংস ও করতে পারেন। এমনকি তাদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি কে পর্যন্ত রহিত করে দিতে পারেন। এই 13 টি আয়াতে মুনাফিকদের অবস্থার পুর্ন বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক আহকাম ও মাসআলা এবং গুরুত্বপূর্ণ হেদায়েত বা উপদেশ রয়েছে । যথা-


কুফর ও নেফাক সে যুগেই ছিল ,না এখনো আছে:

আলোচ্য আয়াত গুলোতে আমরা জানতে পারি যে,মুনাফিকদের কপটতা নির্ধারণ করা এবং তাদেরকে মুনাফিক বলে চিহ্নিত করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত: আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে তাঁর রাসূলকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, অমুক ব্যক্তি আন্তরিকভাবে মুসলমান নয়: বড় মুনাফিক। দ্বিতীয়তঃ এই যে,তাদের কথাবার্তাও কার্যকলাপে ইসলাম ও ঈমান বিরোধী কোন কাজ প্রকাশ পাওয়া।


হুযুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর তিরোধানের পর ওহী বন্ধ হওয়ায় প্রথম পদ্ধতিতে মুনাফিকদের সনাক্ত করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় পদ্ধতিটি এখনো রয়ে গেছে।যে ব্যক্তি কথাবার্তায় ঈমান ও ইসলামের দাবিদার কিন্তু কার্যকলাপে তার বিপরীত তাকে মোনাফেক বলা হবে।


👉 চলবে...

Subscribe by Email

Follow Updates Articles from This Blog via Email

No Comments

About

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Copyright . Blogger দ্বারা পরিচালিত.

সূরা বাকারা আয়াত ৯১-৯৫

Tafsir-e-quran সূরা বাকারা আয়াত (৯১-৯৫) পর্ব -১৮ ✍️ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। 🌷সুরা আল বাকারা(আয়াত ৯১-৯৫) ৯১. আর...